নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম-এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িকতার একটি অনন্য উদাহারণ স্খাপন করেছেন। এদেশে আমরা বিভিন্ন ধর্মের মানুষ যেভাবে মিলেমিশে বন্ধুর মতো বসবাস করি সেটা বিশ্বে বিড়ল। দুর্গাপূজায় আমরা সকলেই কিন্তু পূজা ম-পে যাচ্ছি, উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছি। আবার আমাদের মুসলমানদের ঈদের সময় কিন্তু হিন্দু ধর্মালম্বীরা আমাদের বাসায় আসেন, উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। এই ভ্রাতৃত্ববোধটা আমাদের বজায় রাখতে হবে। শনিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের মিলানায়তনে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে সদর উপজেলাধীন পূজাম-পের অনুকূলে সরকারি অনুদানের চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা যে যে ধর্মের হইনা কেন আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশের উন্নয়নে আমাদের সবার অবদান রয়েছে।
সকলের কষ্ট, ত্যাগ-তীতিক্ষার জন্য আজ আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পৌছেছে, ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পৌছাবে আর ২০৪১ সালে আমরা সমৃদ্ধশালী দেশে পৌছাবো।এটা সম্ভব হয়েছে আমরা সকলে মিলে এই দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে পৃথিবীতে অনেক লোকের মৃত্যু হয়েছে, অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। যারমধ্যে আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজনও রয়েছেন। তাই সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজোর উৎসব পালন করতে হবে। এজন্য কমিটির লোকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাসহ ভলান্টিয়ারদের তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করুণ। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের সময় অনেক প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। তারপরও জননেত্রী শেখ হাসিনা তার হাত খোলা রেখেছেন।
পূজার কথা চিন্তা করে তিনি প্রতিটি পূজামন্ডপে ৫ শত কেজি করে চাল দেয়ার কথা ঘোষনা দিয়েছেন। খুশি এবং আনন্দটা ভাগ করে নেয়ার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এটা দেয়া হয়েছে। যাতে আপনাদের কষ্টটাও কিছুটা লাঘব হয়। তিনি বলেন, আমি সরকার নই, আমি ব্যক্তি মাত্র। আর আপনারা জানেন আমি সৎ জীবন-যাপন করার চেষ্টা করি। অত বড় মানুষও আমি নই, আমি খুবই গরীব মানুষ। আপনাদের সহযোগীতা ও ভালোবাসাতেই কিন্তু আমি রাজনীতি করি। আমি নিজেকে রাজনীতিবিদও বলিনা, আমি জনসেবা করতে এসেছি। তারপরও আপনাদের অনুরোধে এবং আপনাদের আনন্দে অংশগ্রহনের জন্য নিজে থেকে প্রতিটি ম-পে ৫ হাজার টাকা করে দিবো। বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মুনিবুর রহমান, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মধু, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নারায়ন চন্দ্র দে নারু সহ প্রমুখ।
Leave a Reply